বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:০৪ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
শাহরিয়ার মিল্টন, শেরপুর :
আন্তঃজেলা ডাকাত দল মস্কো বাহিনীর প্রধান মস্কো ওরফে চোরা মস্কোকে (৫৯) আটক করে থানা পুলিশে সোর্পদ করেছে স্থানীয় জনতা। এসময় চুরি করে নিয়ে আসা একটি গরু উদ্ধার করা হয়। মস্কো শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত শহর মিয়ার ছেলে। রবিবার (১৪ জানুয়ারি) ভোররাতে শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের যোগিনীমুড়া উত্তরপাড়া থেকে একটি গরুসহ মস্কোকে আটক করে স্থানীয়রা।
যোগিনীমুড়া গ্রামের ইউপি সদস্য মুন্নাফ আলী বলেন, শনিবার রাতে মস্কো যোগিনীমুড়া উত্তর পাড়ার সূতারবাড়ি ও জাহাঙ্গীর মিয়ার বাড়িসহ বেশ কয়েকটি বাড়িতে চুরির উদ্দ্যেশ্যে হানা দেয়। কিন্তু তাতে সে ব্যর্থ হয়। স্থানীয়রা টের পেয়ে তাকে খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে উত্তর পাড়ার মৃত ইফাজ উদ্দিনের ছেলে ও মস্কোর খালাতো ভাই এমদাদ ওরফে এনদাল মিয়ার ঘরে সে লুকিয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা এনদালের ঘরের ভিতরে লুকিয়ে থাকা মস্কোকে খুঁজে পায়। লোকজন জড়ো হলে পাশের একটি কলাবাগানে গরু দেখতে পায় স্থানীয়রা। মস্কো জানায় গরুটি অন্য গ্রাম থেকে চুরি করে নিয়ে এসেছে। এদিকে রাতেই এনদাল মিয়া সটকে পড়ে। আর ভোর হলে পাশ্ববর্তী শ্রীবরদী উপজেলার কুড়িকাহনিয়া ইউনিয়নের ইন্দিলপুর থেকে গরুটির মালিক আসেন। এরপর মস্কোকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। রামকৃষ্ণপুর, যোগিনীমুড়া, মোবারকপুর, কালীগঞ্জ ও জেলখানা মোড়ের একাধিক লোকজন জানান, প্রায় ৪০ বছর যাবত মস্কো ডাকাতি ও চুরির সাথে জড়িত। অর্ধশতবার পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও অভ্যাস ছাড়েনি। জেলে কতবার গেছে এর কোন হিসেব মস্কো নিজেও জানে না। নব্বই দশকের গোড়ার দিকে মস্কো বাহিনী নামে একটি চোরচক্র গড়ে তুলেন তিনি। সেসময় গ্রেপ্তার হয়ে জেলে গিয়ে বের হয়েই জেলা কারাগারের কর্মকর্তাদের কোর্য়াটারে চুরি করে। নব্বই দশক থেকে সামরিক শাসন সময় পর্যন্ত মস্কো বাহিনী এ অঞ্চলে ডাকাতি নিয়ন্ত্রণ করে। একসময় মস্কো বাহিনী চিঠি দিয়েও ডাকাতি করেছে। রামকৃষ্ণপুরে সর্বপ্রথম বিল্ডিং বাড়ি সে নির্মাণ করে কেবল প্রমাণ করার জন্য যে চোরের বাড়িতেও বিল্ডিং হয়। স্থানীয়দের দাবি, মস্কোকে আইনের আওতায় আনলে অন্তত তার বাহিনীর অন্য সদস্যরা চুরি ও ডাকাতি থেকে বিরত থাকবে।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মস্কোকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে। চুরি করা গরুটিও জব্দ করে থানায় আনা হয়েছে। একইসাথে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।